আরব দেশ, তুর্কী, ইরাণ, মধ্য এশিয়া এবং ক্রমে দক্ষিণ এশিয়ার শিল্প-কর্মগুলির জন্য আগামী ১লা নভেম্বর, নিউইয়র্ক এর শিল্পকলার মেট্রোপোলিটান মিউজিয়ামে, ১৫টি চমকপ্রদ নতুন গ্যালারি পুনরায় সাড়ম্বরে উদ্বোধন হতে চলেছে। খুব যত্নসহকারে বড় করে, সদ্য নতুন রূপে কল্পিত এবং যথাযথ ভাবে নবরূপায়িত এই গ্যালারিগুলিতে দেখা যাবে মেট্রোপোলিটান মিউজিয়াম-এর পৃথিবী বিখ্যাত ইসলামীয় শিল্প-কর্ম —এক মনোরম এবং সর্বসমন্বিত সংগ্রহ। এই নতুন স্থানে নকশা কারুকার্যগুলি এমনভাবে করা হয়েছে যাতে যথাযথ ভাবে শিল্প-কর্মগুলির বিভিন্নতা এবং পরস্পরের প্রতি সাংস্কৃতিক সমন্বয় উজ্জ্বল রূপে প্রতীয়মাণ হয়; এই নতুন গ্যালারির বহু দ্বার-বিশিষ্ট প্রবেশ পথ, বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে প্রদর্শিত শিল্প-কর্মগুলির মূল্যায়ণে পরিদর্শকদের প্রভুত সাহায্য করবে বলেই আশা করা যায়।
“এই অসাধারণ নতুন গ্যালারির উদ্বোধন, এনস্ইক্লোপিডিক মিউজিয়াম হিসাবে আমাদের উদ্দেশ্যকে রেখাঙ্কিত করে, এবং বিশ্বের ইতিহাসে ইসলামীয় শিল্পকলা এবং শিল্প-কর্ম গুলির মহিমাময় বিশালতা এবং জটিলতার যথোপযুক্ত প্রচার ও প্রসার সাধনের এক সূবর্ণ সুযোগ প্রদান করে,” এই কথাই বলেছেন মেট্রোপোলিটান মিউজিয়াম-এর নির্দেশক মাননীয় থমাস পি. ক্যাম্পবেল মহাশয়। “প্রসঙ্গ ক্রমে বলা যায় যে এই ১৫টি নতুন গ্যালারি ১৩শ শতাব্দী জুড়ে বিস্তৃত ইসলামীয় সভ্যতার রূপ-রেখার বিস্তারে যথার্থই নতুন পথ দেখাবে যা মধ্য পূর্ব থেকে উত্তর আফ্রিকা, ইউরোপ, ও মধ্য এবং দক্ষিণ
এশিয়া অবধি বিস্তৃত। এই নতুন ভৌগলিক পরিস্থিতি এক সংশোধিত প্রেক্ষিত নির্দেশ করবে যে ইসলামের নানা কীর্তি স্তম্ভ কখনোই একক একশিলাভিত্তিক বা মোনোলিথিক শৈল্পিক মন-চিন্তার ফল নয়, বরং শতাব্দীর পর শতাব্দীর নানা পরিবর্তন এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব বুকে নিয়ে এটি যুক্ত রয়েছে এক বিশালাকায় ভৌগলিক সীমানায়। এই অসাধারণ গ্যালারিগুলিতে জনসাধারণ অনবদ্য শিল্প-কাজের মাধ্যমে খুঁজে পাবেন, ইসলামীয় সভ্যতা ও উত্তরাধিকারের বহুবিধতা এবং মনন-চিন্তা তথা নানা শিল্পকর্ম নির্মিত নানা মতের নানাবিধ সংযোজন।”
পাট্টী ক্যাডবি বার্চ-এর কিউরেটর ইসলামীয়-শিল্প বিভাগের ইনচার্জ, শেইলা ক্যানবি বলেন: “যদিও আমাদের গ্যালারিতে বিস্তারিত এক সময়ের সুবিশাল সংগ্রহ দৃশ্যমান, তবুও এই সব প্রদর্শিত শিল্প-কর্মগুলির বিভিন্নতাকে একটি সূত্রে গেঁথে বিশেষ ভাবে নানাবিধ উপায়ে বিন্যস্ত করা হয়েছে। তার মাঝে মুখ্য হল আরবীয় লিপির প্রভুত ব্যবহার, ফল-স্বরূপ প্রাপ্ত লিপিকলার অপূর্ব এই সব উদাহরণগুলি প্রায়শঃই—চিরাচরিত প্রকাশ মাধ্যম রূপেই দেখা যায়, যেমন, ধাতু-কর্ম বা স্থাপত্য বিষয়ক উপাদান—এবং বইটির শিল্প-কর্মের মধ্য দিয়ে অর্জিত শিল্প-কলা-গুণগ্রাহিতা। এক গভীর, প্রগাঢ় অলঙ্করণের প্রায়শঃ প্রকাশ ঘটেছে বস্ত্র-শিল্পে, কাষ্ঠ-নির্মিত শিল্পে বা টাইল শিল্পে ব্যবহৃত নানা প্রকার জটিল, পরস্পর বিজড়িত, খুব প্রচলিত যৌগিক জ্যামিতিক নির্মাণের দ্বারা। রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরী বিলাস-দ্রব্য-উপাদানের অজস্র উদাহরণও রয়েছে। এবং যে কোন মাধ্যম নির্বিশেষে, সমস্ত বিষয়েই শিল্প-প্রকৌশল-গত উৎকর্ষের উপস্থিতি তো সবিশেষ বিদ্যমান। কারণ আমাদের গ্যালারীতে দ্রষ্টব্য প্রতিটি দ্রব্যই পার্থিব, লোকায়ত প্রকৃতির, যার জন্য এইগুলি তাদের আশ্চর্য সৌন্দর্য এবং সহজাত উপযোগীতার কারণে সহজেই যে কোন প্রকার দর্শকের কাছেই প্রশংসিত হবে।”
এই সংগ্রহে রয়েছে ১২,০০০-এর ও বেশী শিল্প-সৃষ্টি, যা মূলতঃ সংগৃহিত হয়েছে পশ্চিমে সূদুর স্পেন থেকে পূর্বে ভারতবর্ষ পর্যন্ত। সপ্তম শতাব্দী ও তার পরবর্তী সময়ের সব প্রধান অঞ্চল এবং শিল্প-শৈলী সমূহ ঘিরে সমস্ত প্রকাশ মাধ্যম মিলিয়ে ১,২০০-র কিছু বেশী কাজ সব সময়েই দেখা যেতে পারে। আমেরিকার হিস্পেনীয় সম্প্রদায় (হিস্পেনিক সোসাইটি অফ আমেরিকা) থেকে প্রাপ্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঋণ সামগ্রীও দেখা যাবে। (বস্ত্র জাত দ্রব্য বা কাগজের উপর কৃত, এখানে প্রদর্শিত, কিছু শিল্প অত্যধিক আলোক-সংবেদনশীল হবার কারণে কখন কখন আসল রঙের পরিবর্তন ঘটতে পারে।)
নতুন গ্যালারিসমূহ
গ্যালারির পূণর্সংস্থাপনের অংশ হিসাবে, মিউজিয়াম-এর উল্লেখযোগ্য পান্ডুলিপির সংগ্রহ থেকে আরম্ভ করে অতি ভঙ্গুর কাঁচের দ্রব্যাদি বা মহামুল্য এবং দূর্লভ গালিচার মত মুখ্য সংগৃহিত দ্রব্যের যথাযথ সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে গৃহিত এক সুবিশাল কর্ম-কান্ডে ইতিমধ্যেই একদল সংরক্ষক এবং বৈজ্ঞানিকগণ সংযুক্ত হয়েছেন।
মিউজিয়াম-এর সুবিশাল সংগ্রহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: ১৭০৭ সালে ব্যয়বহুল ও জমকালো ভাবে সজ্জিত দামাসকাস কক্ষ, এবং অট্টমান রাজাদের সময়কালে নির্মিত সিরিয়ার বিত্তবান ব্যক্তির গৃহের প্রকৃষ্ট নিদর্শন; ইজিপ্ট, সিরিয়া, ইরাক, এবং ইরান থেকে সংগৃহীত নানা প্রকার কাঁচ, ধাতু এবং চীনামাটির তৈরী দ্রব্যাদি; ১৬ এবং ১৭ শতাব্দী সময়কালের বেশ কিছু অতীব-সুন্দর যুগ-জয়ী দূর্লভ গালিচার মত দ্রব্য, যার অন্তর্ভুক্ত সম্রাটের গালিচা, স্বল্পদিন পূর্বে সংগৃহিত ও নবরূপে সংরক্ষণকৃত ১৬ শতাব্দীতে তৈরী, অতি বিশেষ কালজয়ী, পারস্য দেশের গালিচা, যা নাকি রাশিয়ার পিটার দ্য গ্রেট-এর পক্ষ থেকে উপহার দেওয়া হয়েছিল হ্যাপ্সবার্গ এর সম্রাট লিওপোল্ড ১ম কে, তাছাড়াও রয়েছে; প্রারম্ভিক ও মধ্য যুগে ব্যবহৃত স্মরণীয় কোরাণ; ইরাণের রাজা শাহ্ তাহমাস্প এর (১৫১৪-৭৬) জন্য তৈরী শাহনামা বা সম্রাটদের বই-এর পাতা; আরব দেশীয়, অট্টমান তুর্কী, পারস্য দেশীয়, এবং ভারতের মুঘল আমলের এমনকি শাহ্জাহানের সময়কার তাজমহলের জন্য তৈরী চিত্র-কর্ম, মহামহিম “শাহ্জাহানের অ্যালবাম” সহ আরও নানা অনুচিত্র ; ইস্পাহান থেকে পাওয়া ১৪ শতাব্দীতে তৈরী পালিশ করা চীনা-মাটির টাইল দ্বারা সজ্জিত একটি মিহরাব, বা প্রার্থনা স্থান, যা নাকি মুসলিম গৃহে মোনাজাত কালে মক্কার দিক নির্দেশ করতো, ইত্যাদি সহ আরও নানা স্থাপত্য-উপাদান পরিদর্শণের জন্য এখানে রয়েছে।
নতুন গ্যালারিসমূহ
প্রদর্শনিকক্ষসমূহ এবং নির্মাণের ইতিহাস
নতুন ১৯,০০০ বর্গ-ফুট (১,৪০০-বর্গ-মিটার)-এর প্রদর্শনিকক্ষগুলি মিউজিয়ামের ইসলামি শিল্প বিভাগের সংগ্রহকে ধারণ করবে, মিউজিয়ামটির ১৪০-বছর ইতিহাসের সমগ্র সময়কাল ধরে ১২,০০০-এরও বেশি শিল্পকর্ম উপহার লাভ ও ক্রয়ের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়েছে। এই সংগ্রহের জন্য সর্বপ্রথম সুনির্দিষ্ট প্রদর্শনিকক্ষের সমষ্টিটি বিভাগীয় সভাপতি রিচার্ড এট্টিনঘাউসেন-এর নির্দেশনায় ১৯৭৫ সালে উদ্বোধিত হয়েছিল।
মিউজিয়ামের পঞ্চম অ্যাভিনিউ ভবনের সমগ্র দক্ষিণ ডানা জুড়ে সর্বাত্মক “২১তম শতাব্দী দর্শন” অভ্যন্তরীণ নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে ২০০৩ সালের মে মাসে সংস্কারের জন্য গ্যালারিগুলিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০০৩ সালের জুন মাস থেকে শুরু হয়ে, সংগ্রহের নির্বাচিত বিশিষ্ট অংশের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়সমূহকে মিউজিয়ামের বিশাল হল-ঘর এবং প্রধান ভবনের অন্যান্য বিভিন্ন অবস্থানের দিকে লক্ষ্য রেখে ব্যালকোনিতে অবিরাম ভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে। ইসলামি শিল্প বিভাগ দ্বারা মেট্রোপোলিটান মিউজিয়ামে বৃহত প্রদর্শনীও আয়োজিত এবং উপস্থাপিত করা হয়েছে, এর অন্তর্ভুক্ত আছে চেঙ্গিস খানের ঐতিহ্যশালী সম্পদ। পশ্চিম এশিয়ার দরবারের শিল্প এবং সংস্কৃতি, ১২৫৬–১৩৫৩ (২০০২–২০০৩), ভারতীয় তোতার মণিমাণিক্য: সম্রাট আকবরের চিত্রিত খামসা, ১৫৯৭–৯৮ (২০০৫–২০০৬), এবং ভেনিস ও ইসলামি জগত, ৮২৮–১৭৯৭ (২০০৭)।
মিউজিয়ামের দক্ষিণ ডানার অন্যান্য “২১তম শতাব্দী দর্শন” প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে অন্যান্য নতুন গ্যালারীর শ্রেণী, এগুলি যাদের জন্য তা হল – গ্রীক বাগ্বিধি ভাবধারা, ইট্রুয়াদেশীয়, দক্ষিণ ইটালি-দেশীয়, এবং রোমান শিল্প; স্থানীয় উত্তর মার্কিন শিল্প; মহাসাগরীয় শিল্প; এবং ১৯তম- এবং প্রারম্ভিক ২০তম শতাব্দীর ইউরোপীয় চিত্র এবং ভাস্কর্য—এবং রুথ ও হ্যারল্ড ডি. ইউরিস-এর শিক্ষা কেন্দ্র। এই সমস্ত প্রকল্পের সবগুলিই এখন সমাপ্ত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রামসমূহ
প্রদর্শনিকক্ষসমূহের সংগ্রহের সঙ্গে সমস্ত বয়সের দর্শক-শ্রোতাদের সংযুক্ত করতে এবং ইসলামি সংস্কৃতির মধ্যে যে বহুবিধ দৃষ্টিভঙ্গি ও বিভিন্নতা রয়েছে সে সম্বন্ধে তাদের উপলব্ধিকে আরো বিস্তৃত করতে, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, ছাত্র, শিক্ষক, এবং সাধারণ দর্শকদেরকে বিভিন্ন প্রকারের শিক্ষণীয় উদ্যোগের সামনে উম্নুক্ত করা হবে। এইগুলির অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলি হচ্ছে সুর-সঙ্গীত উপস্থাপনা, হাতে-কলমে শেখার কর্মশালা, বক্তৃতা, ফিল্ম প্রদর্শনী, প্রদর্শনিকক্ষ আলোচনা, কে-১২ শিক্ষক কর্মশালা, একটি আন্তর্জাতিক আলোচনাচক্র, প্যানেল আলোচনা, ও শিল্পীদের সঙ্গে কথোপকোথন, সম্পূরক হিসেবে পাওয়া যাবে প্রকাশনা এবং অনলাইন সম্পদসমূহ।
নতুন প্রদর্শনিকক্ষগুলির সঙ্গে সংযোজিত ভাবে প্রোগ্রাম করতে যারা উদারভাবে এগিয়ে এসেছেন তারা হলেন শর্মিন ও বিজন মোসাওয়ার-রহমানি; পাট্টি ও এভারেট বি. বার্চ ফাউন্ডেশন; ইসলামি শিল্পের ডরিস ডিউক ফাউন্ডেশন; লাভোরি স্টার্লিং ফাউন্ডেশন, ইনকর্পোরেশন; আগা খান সঙ্গীত উদ্দ্যোগ- সংস্কৃতির জন্য আগা খান ট্রাস্ট-এর একটি অনুষ্ঠান; ইরানী অধ্যয়নের আমেরিকান প্রতিষ্ঠান; এবং মরোক্কো-আমেরিকান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
মরোক্কান আদালত সৃষ্টির একটি ভিডিও এবং নির্মীয়মাণ-প্রদর্শনিকক্ষগুলির ফটোগ্রাফ সহ নতুন প্রদর্শনিকক্ষগুলি সম্বন্ধে বিশেষ অনলাইন বৈশিষ্ট্যসমূহ মিউজিয়ামের ওয়েবসাইটে (www.metmuseum.org) উপলব্ধ থাকবে।
শিশুদের জন্য মেট্রোপোলিটান মিউজিয়ামের পরিচালক ও অন্যান্য পন্ডিত জনের ভাষ্য এবং বিশেষ তথ্য সম্বলিত অডিও সহায়ক উপলব্ধ থাকবে। ভাড়া নেওয়ার জন্য ফি
হচ্ছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য $৭, মিউজিয়াম সদস্যদের জন্য $৬, এবং ১২ বছরের নীচের শিশুদের জন্য $৫।
অডিও সহায়ক প্রোগ্রামটি ব্লুমবার্গ দ্বারা প্রযোজিত।
প্রকাশনাসমূহ
আরব দেশ, তুরস্ক, ইরান, মধ্য এশিয়া ও পরবর্তী কালে দক্ষিণ এশিয়ার শিল্পকর্মের জন্য নতুন গ্যালারিসমূহ উন্মোচনের সঙ্গে সমাপতিত হতে সংগ্রহের একটি নতুন সহায়িকা প্রকাশ করা হবে। এই খণ্ডটিতে প্রায় ৩০০ কার্যাবলী একত্রিত করা হয়েছে, ইসলামি শিল্প বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত পাট্টি ক্যাডবি বার্চ পরিচালক শিলা ক্যানবি এটির ভূমিকা লিখেছেন। প্রধান লেখকেরা হলেন ইসলামি শিল্প বিভাগের বরিষ্ঠ গবেষণা সহযোগী মারিয়াম এখতিয়ার; শিল্প ইতিহাসে জন লোয়েব অধ্যাপক এবং নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চারু কলা প্রতিষ্ঠানের স্নাতক অধ্যয়নের মহাপরিচালক প্রিসসিলা সৌসেক; শিলা ক্যানবি; এবং মিউজিয়ামের ইসলামি শিল্প বিভাগের নতুন প্রদর্শনিকক্ষগুলির কিউরেটর এবং সমন্বয়সাধনকারী নবিনা হায়দর। চিত্র সমৃদ্ধ পুস্তকটি—যা সাধারণ দর্শক-অভ্যাগতদের জন্য রচিত হয়েছে- মিউজিয়ামের বইয়ের দোকানে $৬৫-এর বিনিময়ে উপলব্ধ থাকবে।
শর্মিন ও বিজন মোসাওয়ার-রহমানির উদার সমর্থন-সহযোগের আশীর্বাদে পুষ্ট হওয়ার ফলেই এই প্রকাশনাটিকে প্রস্তুত করা সম্ভব হয়েছে।
শাহ তহমাস্প-এর দ্য শাহনামা-র একটি অবিকল সংস্করণ: রাজাদের ফার্সী বই-এর বিখ্যাত খণ্ডটির সকল ২৫৮ পৃষ্ঠাকে প্রথম বারের জন্য রঙিনভাবে পুনর্মিলন ঘটাবে এবং সেগুলির পুনর্লিখন করবে, এর সঙ্গে থাকবে পাণ্ডুলিপির ইতিহাস ও গুরুত্বের ওপর শিলা ক্যানবির লেখা একটি ভূমিকা।
ইরানী-আমেরিকান সম্প্রদায়ের সহৃদয়তার ফলেই এই প্রকাশনাটি তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।
নতুন প্রদর্শনিকক্ষগুলির উন্মোচনের সাথে সাথেই মেট্রোপোলিটান মিউজিয়াম অতিরিক্ত পুস্তকাদি প্রকাশ করবে। টার্কমেন জুয়েলারি (গহনা): রুপোর গহনা
মার্শাল অ্যাণ্ড মেরিলিন উল্ফ কালেকশান (লায়লা এস. দিবা, $৬০) থেকে মিউজিয়ামকে দেওয়া টার্কমেন জুয়েলারির একটি সাম্প্রতিকতম প্রধান উপহারের নিদর্শন স্থাপন করে। বয়সের বিস্ময়: ভারতের সুদক্ষ চিত্রশিল্পীগণ, ১১০০-১৯০০ (জন গাই এবং জরিট ব্রিটসচগি দ্বারা, $৪৫) একটি প্রদর্শনীর সহগামী – এই প্রদর্শনীটি 2011-র শরতকালে মেট্রোপোলিটানে প্রদর্শিত হবে। দক্ষিণের সুলতানেরা: ভারতের ডেকান আদালতের শিল্প, ১৩২৩–১৬৮৭ (নবিনা হায়দর ও মরিকা সর্দার দ্বারা সম্পাদিত, $৫০) ইন্দো-ইসলামিক শিল্পের ওপর সংঘটিত ২০০৮ সালের একটি আলোচনাচক্রের রচনা অন্তর্ভুক্ত করে। এই একই বিষয়ে একটি বৃহত ভবিষ্যত প্রদর্শনীর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সমস্তকিছুই শিল্পের মেট্রোপলিটান মিউজিয়াম দ্বারা প্রকাশিত হয় এবং ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস সেগুলি সরবরাহ করে, এবং মিউজিয়ামের বইয়ের দোকানে তা উপলব্ধ থাকবে।