মেট্রোপোলিটান মিউজিয়াম কনসার্ট উদযাপন করছে
এটি আরম্ভ হবে ১লা নভেম্বর, ২০১১-তে।এই বহু প্রশংসিত সঙ্গীতানুষ্ঠানের শৃঙ্খলা ২০১১-এ ৫৮তম সিজানকে চিহ্নিত করবে।
এই নতুন গ্যালারিতে থাকবে মেট্রোপোলিটান মিউজিয়াম-এর ইসলামিক শিল্প বিভাগের আগের থেকে বিখ্যাত সংগ্রহ যা হল সারা বিশ্বে এই ধরণের বস্তুর একটি বিস্তীর্ণ সম্ভার-সম্পূর্ণ ভাবে নবায়ন, বিস্তার এবং পুনরায় স্থাপন করা ১৫টি গ্যালারির স্যুট | ভৌগোলিক ক্ষেত্রের ভিত্তিতে গ্যালারিগুলির গঠন ইসলামী জগতের আয়ত্তে আসা নানান সংস্কৃতিকে চিহ্নিত করে ১৩০০ বছরের ব্যাপ্তিকালে গড়ে ওঠা তার সমৃদ্ধ বিবিধতাগুলিকে তুলে ধরবে।
সংশ্লিষ্ট সঙ্গীতানুষ্ঠানগুলির মধ্যে থাকবে :
“মন মাতানো সঙ্গীত!”, হাসান হাকমউন বাদক-দল এবং নাজমুদ্দীন সাইফুদ্দীন ভ্রাতার বাদক-দল গ্নাওয়া এবং কাওয়ালি পরম্পরার সঙ্গীত পরিবেশন করবেন
দুই প্রখ্যাত কলাবিদ এবং এদের বাদক-দল উত্তর আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার সম্মোহনী প্রশংসা সঙ্গীত পরিবেশন করে থাকেন। মোরোক্কোর হাসান হাকমউন বাদক-দল গ্নাওয়া আধ্যাত্মিক সম্মোহন পরম্পরার নিবেদন করেন, এবং পাকিস্তানের নাজমুদ্দীন সাইফুদ্দীন ভ্রাতা বাদক-দল, সুফি কাওয়ালির ঐতিহ্যকে বহন করে, তাহাদের বিশিষ্ট সঙ্গীতকে পরিবেশন করেন। সবশেষে তারা একসঙ্গে সঙ্গীত পরিবেশন করতে আসবেন একটি বিশেষ ভাবে তৈরি করা পরিসমাপ্তির জন্য।
শনিবার, অক্টোবর ২৯, ২০১১ সন্ধ্যে ৭:০০ টার সময়
এই কার্যক্রমটিকে বিশাল সহৃদয়তার সঙ্গে সমর্থন দিয়েছেন ডরিস ডিউক ফাউন্ডেশন ফর ইসলামিক আর্ট।
“মন মাতানো সঙ্গীত!” পারিবারিক সঙ্গীতানুষ্ঠান
দি হাসান হাকমউন এনসেম্বল এবং দি নাজমুদ্দীন সাইফুদ্দীন ব্রাদার্স এনসেম্বল এক ঘণ্টা ধরে পারিবারিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশনা করবেন গ্নাওয়া এবং কাওয়ালি পরম্পরাকে প্রকাশে এনে এবং সেই সঙ্গে থাকবে ড্রামিং সোলো আর অ্যাক্রোব্যাটিক ডানসিং।
রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১১ বিকেল ৩:০০ টার সময়
এই কার্যক্রমটিকে বিশাল সহৃদয়তার সঙ্গে সমর্থন দিয়েছেন ডরিস ডিউক ফাউন্ডেশন ফর ইসলামিক আর্ট।
কাওয়াল নাজমুদ্দীন সাইফুদ্দীন ও ভ্রাতৃবৃন্দের উপস্থিতি হল ক্যারাভেনসেরাই-এর সৌজন্যে: একটি জায়গা যেখানে সংস্কৃতির মিলন হয়। ক্যারাভেনসেরাই হল একটি দুর্দান্ত প্রবর্তন যার গঠন হয়েছে মার্কিন সমুদায় এবং সমসাময়িক মুসলিম সমাজের মধ্যে বার্তার মাধ্যম খুলে দেওয়া এবং সেটিকে বিস্তারিত করার জন্য, শিল্পকে প্রবেশ বিন্দু রূপে ব্যবহার করে এবং ইউ.এস. রিজিওনাল আর্টস অর্গানাইজেশনের তরফ থেকে এটির ব্যবস্থাপনা করে আর্টস মিডওয়েস্ট।
তবলাফিলিয়া
তবলা ওস্তাদ এবং সুরকার সমীর চ্যাটার্জির সাংগীতিক নির্দেশনায় এবং পরিচালনায় ভারতীয় তবলা (ড্রাম) বাদক এবং কণ্ঠশিল্পীদের দ্বারা একটি ঐকতান সঙ্গীত পরিবেশন | তবলাফিলিয়া হিন্দু দর্শনের চারটি জীবন পর্ব (আশ্রম)-কে বিমূর্ত তবলার ভাষার মাধ্যমে ব্যাখ্যা করে- ব্রহ্মচর্য, গৃহস্থ, বানপ্রস্থ এবং সন্যাস |
৩১ অক্টোবর, সোমবার, সন্ধ্যে ৬:৩০টার সময় দ্য গ্রেট হল-এ
“বাবরের ফুটস্টেপের ওপর: “মুঘলদের দেশ থেকে সাংগীতিক সাক্ষাত্কার”
যার মধ্যে থাকবেন হুমায়ুন সখি, আফগান রুবাব; রাহুল শর্মা,সন্তুর; সালর নাদের, তবলা ও জেরবাঘালি; সিরোজিদ্দীন জুরাএভ, দুতর ও তম্বুর; এবং মুখতোর মুবোরাকাদোমোভ, বাদকাশানি সেতার। এই কার্যক্রমটি হল নতুন সঙ্গীতের জন্য যা আগা খান মিউজিক ইনিশিয়েটিভ থেকে সমর্থন পেয়ে বিকশিত হয়েছে শিল্পিক সহযোগিতার ফলে। মুঘল দরবারে সঙ্গীত রচনার বর্ণাঢ্য ছবি ও সাহিত্যিক ব্যাখ্যা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, এই সঙ্গীত প্রবর্তন আফগানিস্তান, ভারতবর্ষ এবং তাজিকিস্তান থেকে সঙ্গীত শিল্পীদেরকে এক ছত্রছায়ায় এনেছে, তাদের প্রতিভা, ঐতিহ্য এবং বাদ্য যন্ত্রগুলির মিলন ঘটিয়ে এক নতুন ধ্বনি সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে।
৯ ডিসেম্বর, শুক্রবার, সন্ধ্যে ৭:০০টার সময়
এই অনুষ্ঠানটিকে পরিবেশিত করা হচ্ছে আগা খান মিউজিক ইনিশিয়েটিভ-এর সহযোগিতায় যা হল আগা খান ট্রাস্ট ফর কালচার-এর একটি কার্যক্রম।
মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম আর্টিস্টস ইন কনসার্ট
মিউজিয়ামের বহু প্রশংসিত বাদক-দল নতুন গ্যালারিগুলি থেকে অনুপ্রেরিত হয়ে একটি সঙ্গীত পরিবেশনা করবে: স্ট্রাউসের চারটি পিস পিয়ানো কোয়ার্টেটের জন্য; সুলখান সিন্টসাড্সের মিনিয়েচার্স ফর স্ট্রিং কোয়ার্টেট; ওয়াশে শারিফিয়াঁ-এর অ্যাডমব্রেশন্স অফ দ্য পিকক , পিয়ানো কোয়ার্টেট (২০০৩);-এর জন্য; বাদক-দল সদস্য কলিন জেকবসেন দ্বারা একটি কারুকাজ; এবং শোস্টাকোভিকের পিয়ানো কোয়ার্টেট ইন জি মাইনর, ওপি. ৫৭।
শনিবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যে ৭:০০টার সময়
এই সঙ্গীতানুষ্ঠানটিকে বিশাল সহৃদয়তার সাথে সমর্থন দিয়েছেন ব্রডস্কি ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন।
কোয়লান কালহোর
আন্তর্জাতিক খ্যাতি প্রাপ্ত কামেঞ্চে (ফারসি তার যুক্ত বেহালা জাতীয় বাদ্যযন্ত্র) কলাকোবিদ, তিনি য়ো-য়ো মা’র সিল্ক রোড প্রোজেক্টে সহযোগিতা করার জন্য বিখ্যাত এবং তিন বার গ্র্যামি মনোনীতও হয়েছেন। তিনি পারম্পরিক ফার্সী সঙ্গীত সন্ধ্যা অনুষ্ঠান করে থাকেন।
শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১২ সন্ধ্যে ৭:০০টার সময়
ফাজিল সেয়
নামকরা তুর্কি পিয়ানিস্ট, নিজের ক্লাসিকাল এবং সেই সঙ্গে জ্যাজ সম্ভারের জন্যও খ্যাত, একটি অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন যার মধ্যে থাকবে, জানাসিএক-এর পিয়ানো সোনাটা এবং প্রোকোফিভের পিয়ানো সোনাটা নং ৭ ছাড়াও ওনার নিজস্ব কিছু গান। ব্ল্যাক আর্থ, থ্রি ব্যালাডেস, পাগনিনি জ্যাজ ভ্যারিয়েশনস, ইনসাইড সেরাইল, আল্লা টুর্কা জ্যাজ এবং সামারটাইম ভ্যারিয়েশনস।
শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১২ সন্ধ্যে ৭:০০টার সময়
জর্ডী সভ্যাল
“আর্লি মিউজিক সুপারস্টার” (দি নিউ ইয়র্ক টাইমস) মেট্রোপলিটন মিউজিয়ামে ফিরছেন “লা লিরা ডি’এস্পেরিয়া,”-এর সঙ্গে, যা হল মেডিটেরিনিয়ন সংস্কৃতির নৃত্য, ল্যামেন্টো এবং স্ট্যাম্পিটাইটে ভরা একটি অনুষ্ঠান। জর্ডী সভ্যাল রেবাব, ভিয়েল এবং লিরা বাজাবেন এবং তার সঙ্গে যোগ দেবেন সন্তুর, মরিস্কা এবং পারকশনে দিমিত্রী সোনিস।
মঙ্গলবার, ১২ জুন, ২০১২ সন্ধ্যে ৭:০০টার সময়
সিরিন
নিউ ইয়র্কের শ্রেষ্ঠ শিল্পীদেরকে নিয়ে তৈরি করা একটি এনসেম্বল-যার নেতৃত্ব করছেন বেহালাবাদক কলিন জেকবসেন (মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম আর্টিস্টস ইন কনসার্ট, দি নাইটস, ব্রুকলিন রাইডার)-সিরিন সারা বিশ্ব থেকে তোলা চিরন্তন গল্পগুলিকে নবীন কল্পনায় গেঁথে সেগুলিকে নৃত্য, সঙ্গীত, এবং লাইভ ছবি আঁকা এবং উদ্দীপনায় রূপান্তরিত করে দেয়। নবীন গ্যালারির থেকে অনুপ্রাণিত এই পারিবারিক সঙ্গীতানুষ্ঠানের জন্য এই অঞ্চলের লোককাহিনীগুলিকে অরিজিনাল সঙ্গীত, ড্যান্স, এবং লাইভ এনিমেশনের প্রেক্ষাপতে গঠিত করা হবে।
শনিবার, ১৬ জুন, ২০১২ বিকেল ৩:০০টার সময়